বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ শোকের পতাকাটি শনিবার ইমাম হুসাইন (আ.) এবং হযরত আব্বাস (আ.) এর পবিত্র মাযারের চারদিকে তাওয়াফ করানো হয়েছে।
১২ হাজার মিটার লম্বার এই পতাকাটি ইরাকের শিয়া, সুন্নি, কুর্দি, তুর্কামেনসহ সকল উপজাতির প্রতিনিধিরা “ইরাকের দিয়ালা থেকে রিসালত ও শাহাদাতের কারবালা পর্যন্ত” শ্লোগানের মাধ্যমে বহন করেছেন।
এই অনুষ্ঠানটি টানা ছয় বছর যাবত অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং প্রতি বছর সফর মাসের দশ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়।
এ বছর ইমাম হুসাইন (আ.) জন্য দীর্ঘতম শোকের পতাকা বহনকারী মিছিলটি হেডকোয়ার্টারের কাছে ক্বিবলাতুল ইমামুল হুসাইন (আ.) নামক স্থান থেকে শুরু হয়েছে। পরবর্তীতে এই পতাকাটি ইমাম হুসাইন (আ.) পবিত্র মাযারের প্রাঙ্গণ এবং বাইনুল হারামাইন হয়ে হযরত আব্বাস (আ.)এর পবিত্র মাযারে প্রবেশ করেছে।
পবিত্র এই পতাকা সেলাই কর্মের তত্ত্বাবধায়ক আবু বাহরুল আরনুতী বলেন: চয় বছর আগে এই শোকের পতাকা বহনের অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। তখন এর দৈর্ঘ্য ছিল ২ হাজার মিটার। তবে আজ এই পতাকাটির দৈর্ঘ্য হচ্ছে ১২ হাজার মিটার।
তিনি বলেন: এই পতাকাটি প্রতিবছর দিয়ালার একটি অঞ্চলে সেলাই করা হয়। দিয়ালার সকল গোত্রের লোকেরা এই পতাকা বহন করেন। যতে এর মাধ্যমে ইমাম হুসাইন (আ.) প্রতি ইরাকিদের ভালোবাসা ফুটে ওঠে।
আবু বাহরুল আরনুতী বলেন: এই ফ্ল্যাগ মার্চের মাধ্যমে আমরা বিশ্বকে একটি বার্তা পাঠাতে চাই। আর তা হচ্ছে সাধারণভাবে ইরাকি সমাজের বিভিন্ন উপজাতি এবং বিশেষ করে দিয়ালা প্রদেশের সকলে একে অপারে ভাই। আমরা এটা প্রমাণ করতে চাই যে, ইমাম হুসাইন (আ.) আমাদের ঐক্যবদ্ধ করেছেন। এই পতাকা যার উপর ইমাম হুসাইন (আ.) - এর সম্মানিত নাম সেলাই করা হয়েছে তা আমাদের একত্রিত করেছে এবং ইরাকের সকল গোত্র জনগণের এই পতাকার ছায়ায় ঐক্যবদ্ধ থাকবে। iqna