IQNA

সন্ত্রাসবাদী অপরাধের আর একটি পাতা;

ভারতে করোনা ছড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিলো দায়েশ

19:54 - July 26, 2020
সংবাদ: 2611206
তেহরান (ইকনা): জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) এবারের টার্গেট ভারত। যেভাবেই হোক ভারতের ক্ষতি করতে বদ্ধপরিকর তারা। এবার তাদের হাতিয়ার, করোনা ভাইরাস। আইএসের অনলাইন ম্যাগাজিনে এই সংগঠনের সমর্থক জেহাদিদের 'কোভিড বাহক' হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে ভারতে আরো ভয়ানকভাবে মহামারি ছড়িয়ে দেওয়া যায়।

ভারতে করোনা ছড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিলো দায়েশসর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইসলামিক স্টেট জঙ্গি সংগঠন তাদের 'ভয়েস অব হিন্দ' অনলাইন ম্যাগাজিনের লকডাউন স্পেশাল সংস্করণ প্রকাশ করেছে। ১৭ পাতার এই ম্যাগাজিনে ভারতে থাকা জেহাদিরা কিভাবে সাধারণ জনগণের ক্ষ'তি করতে পারে সে সম্পর্কে একাধিক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ম্যাগাজিনের কভার পেজে লেখা হয়েছে, 'যত বেশি সংখ্যক অবিশ্বাসীদের হত্যা কর'।

আইএসের 'ভয়েস অব হিন্দ' ম্যাগাজিনের কভার পেজে দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজে তাবলিগের জমায়েতের ছবি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, দিল্লির সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ছবিও রয়েছে কভার পেজে। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, কিভাবে অবিশ্বাসীদের হত্যা করতে হবে তা ম্যাগাজিনটির পাতায় পাতায় উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, সুয়োগ পেলেই তাদের হত্যা কর। সবসময় অস্ত্র নিজের সঙ্গে রাখ। বন্দুক, ছুরি, হাতুড়ি, দড়িকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সেই প্যারাগ্রাফের শেষ অংশে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসকেও হত্যার হাতিয়ার বানাও। যত বেশি সংখ্যক অবিশ্বাসীদের মধ্যে এই ভাইরাস ছড়িয়ে দাও। এই পদ্ধতিকে হত্যার সবচেয়ে সহজ প্রক্রিয়া বলে বর্ণনা করেছে আইএস জঙ্গি সংগঠন। তাবলিগ জামাত ও মাওলানা সাদকে সুপার স্প্রেডার বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই ম্যাগাজিনে।

জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তারের বদলা নিতে দিল্লির পুলিশকর্মীদের মধ্যে এই ভাইরাস ছড়িয়ে দেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি একাধিক গোয়েন্দা রিপোর্টে দেখা গেছে, ভারতকে টার্গেট করছে আইএস জঙ্গিরা। এমনকি, দক্ষিণ ভারতের একাধিক রাজ্যে এই জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা সক্রিয় রয়েছে বলেও সতর্ক করেছে জাতিসংঘের রিপোর্ট।

সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কিত জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুসারে, কেরল ও কর্ণাটকে আইএসআইএল-এর তাকফিরি সন্ত্রাসীদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যা রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও মায়ানমার আল-কায়েদার ১৫০ থেকে ২০০ জঙ্গি সংগঠন রয়েছে। এসকল জঙ্গি সংগঠনের সন্ত্রাসীরা এসব এলাকায় হামলা চালানোর চেষ্টা করছে। iqna

captcha