বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: পবিত্র রজব মাস অপরিসীম ফজিলত ও তাৎপর্যে পরিপূর্ণ। এ মাসে এমন কিছু স্মরণীয় ও ঐতিহাসিক দিবস রয়েছে; যেগুলোর প্রত্যেকটি ইসলামের ইতিহাসে অফুরন্ত গুরুত্ব বহন করে। পাঠকদের জ্ঞাতার্থে আমরা এখানে রজব মাসের কিছু ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ দিনের কথা উল্লেখ করছি-
১- পহেলা রজব
রজব মাসের প্রথম দিনে ৫ম ইমাম হযরত ইমাম মুহাম্মাদ বাকেরের (আ.) মহিমান্বিত জন্ম দিবস। ৫৭ হিজরীর এ দিনে তিনি জন্ম গ্রহণ করেন। রজব মাসের প্রথম দিনে ইমাম হুসাইনের (আ.) জিয়ারতের অধিক সওয়াব রয়েছে।
২- ৩রা রজব
রজব মাসের ৩ তারিখ ২৫৪ হিজরীতে শাহাদত বরণ করেন ১০ ইমাম হযরত ইমাম আলী নাকী (আ.)। মাত্র ৪১ বছর বয়সে তিনি তদানীন্তন আব্বাসী শাসকের চক্রান্তে শাহাদত বরণ করেন।
৩- ১০ম রজব
ইমামতিধারার ৯ম ইমাম হযরত ইমাম মুহাম্মাদ তাকী (আ.) ১৯৫ হিজরীর এ দিনে জন্মগ্রহণ করেন।
৪- ১২ই রজব
মুয়াবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান ৭৮ বছর বয়সে এ দিনে মৃত্যু বরণ করেন। ইমাম হাসান (আ.), হযরত হিজর ইবনে আদিসহ অনেক একনিষ্ঠ সাহাবী এ ক্ষমতালোভী ব্যক্তির হাতে শাহাদত বরণ করেন।
৫- ১৩ই রজব
রজব মাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিন হচ্ছে ১৩ই রজব। কারণ এ দিনে পবিত্র কাবা ঘরের মধ্যে জন্ম নিয়েছিলেন রাসূলের (সা.) উত্তরাধিকার ও ইমামতিধারার প্রথম ইমাম আমিরুল মু'মিনিন আলী (আ.)। মানবেতিহাসে তিনিই একমাত্র ব্যক্তিত্ব যিনি পবিত্র কাবা জন্মগ্রহণ করেন।
৬- ১৫ই রজব
৬২ হিজরীর এদিন কারবালার বাগ্মি নারী হযরত জয়নাব (আ.) ওফাত বরণ করেন।
৭- ২৪ই রজব
৭ হিজরীর এদিন আমিরুল মু'মিনিন আলীর (আ.) নজিরবিহিনী বীরত্বের কারণে মুসলমানদের ভাগ্যে বিশাল বিজয় জুটেছিল। এ দিন আমিরুল মু'মিনিন আলী (আ.) ইহুদিদের খায়বার দূর্গ দখল করেন।
৮- ২৫ই রজব
৭ম ইমাম হযরত মুসা কাজীম (আ.) ১৮৩ হিজরীর এ দিন শাহাদত বরণ করেন।
৯- ২৬ই রজব
রাসূলের (সা.) পালিত পিতা হিসেবে খ্যাত এবং তার একনিষ্ঠ সহযোগি হযরত আবু তালিবের ওফাত দিবস।
১০- ২৭ই রজব
রজব মাসের সবচেয়ে পবিত্র ও ফজিলতপূর্ণ দিবস হচ্ছে এদিন। কারণ এদিনে রাসূল (সা.) আল্লাহর নির্দেশে স্বীয় নবুয়্যাত ও রেসালতের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এদিন থেকেই ইসলাম ধর্মের আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু হয়েছিল। এ দিনে রোজা রাখার বিশেষ গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে।