কিন্তু ইসরাইলী সেনা কর্তৃপক্ষ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ ঘাঁটির ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশ করে নি ।
এ খবর সংক্রান্ত বিশ্লেষণ :
এখন প্রশ্ন হলো : ইসরাইলের শত কোটি ডলারের অধিক মূল্যের অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ' আয়রন ডোম ' কি ঐ সময় ভেরেণ্ডা ভাজছিল যে তা এত গুরুত্বপূর্ণ এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল বেস হিযবুল্লাহর নিক্ষিপ্ত মিসাইলের আঘাত থেকে রক্ষা করতে পারে নি এবং মিসাইল গুলো ধ্বংসও করতে পারে নি ?
এই বেস থেকে উত্তর ইসরাইল , লেবানন , সিরিয়া সহ অত্র অঞ্চলে সব ধরনের বিমান চলাচল মনিটর করে থাকে ইসরাইলী বিমান বাহিনী। তাই এই এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল বেস ইসরাইলের কাছে সামরিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । অতি গুরুত্বপূর্ণ এই বেস বা ঘাঁটি রক্ষা করতেই যদি ইসরাইলী আয়রন ডোম অর্থাৎ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যর্থ হয় তাহলে বোঝাই যায় যে তা গাযা থেকে ফিলিস্তীনী যোদ্ধাদের নিক্ষিপ্ত ক্ষেপণাস্ত্র গুলোও ধ্বংস করতে সক্ষম হচ্ছে না বলেই আজ যুদ্ধের 93 দিন অতিবাহিত হওয়ার পরেও তেল আবীব, আস্কালান , গাযা এনভেলপ , নাহেল ঔয্ ও অন্যান্য ইসরাইলী শহরে ফিলিস্তীনীদের মিসাইল আঘাত হানছে এবং ইসরাইলী কর্তৃপক্ষ ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকছে এবং ইসরাইলী সংবাদ মাধ্যম সমূহের ওপর কঠোর সেন্সর শিপ আরোপ করে রেখেছে যার ফলে ঐ সব সংবাদ মাধ্যম ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশ করতে পারছে না ।
গাযায় স্থল যুদ্ধে ইসরাইলী সৈন্যদের হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকছে ইসরাইলী সেনা কর্তৃপক্ষ । আড়াই মাস ধরে তীব্র স্থল যুদ্ধ করেও এখন পর্যন্ত ইসরাইলী সেনাবাহিনী গাযা ভূখণ্ডের কোনো একটা শহরও পূর্ণ দখল করতে পারে নি এবং নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে নি। এটা ইসরাইলের চরম সামরিক ব্যর্থতা। অথচ 1967 সালের 6 দিনের আরব - ইসরাইল যুদ্ধে এই গাযা ভূখণ্ড মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মিসরের হাত থেকে দখল করে নিয়েছিল!! আর এখন ইসলামী জিহাদ ও হামাসের মতো ক্ষুদ্র সংগঠন ও দলের হাত থেকে তিন মাস ধরে প্রচণ্ড যুদ্ধ ও আগ্রাসন চালিয়ে এবং ব্যাপক নির্বিচারে বোমাবর্ষণ করেও দখল করতে পারছে না। ইসরাইল এ পর্যন্ত তার ঘোষিত কোনো লক্ষ্য ই অর্জন করতে পারে নি এ যুদ্ধে ।
যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য গতকাল (৭-১-২০২৪) ইসরাইলীরা তেল আবীবে ইসরাইলী সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ করেছে ।
যুদ্ধে ইসরাইলী সরকার ও সেনাবাহিনীর পরাজয় ও ব্যর্থতা ইসরাইলীদের কাছেও অত্যন্ত সুস্পষ্ট।
কিন্তু বিশ্বব্যাপী সংবাদ মাধ্যম গুলো ইহুদীবাদের প্রভাবে প্রকৃত বাস্তবতা প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকছে।
ইসলামী চিন্তাবিদ এবং গবেষক হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলেমিন মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান,
8-1-2024