ইসলামী স্থাপত্যশিল্পের প্রকৃষ্ট উদাহরণ হয়ে এই দুর্গগুলো আজও টিকে আছে।
প্রতিরক্ষাব্যবস্থার পাশাপাশি এই দুর্গগুলো আবাসিক ভবন হিসেবেও ব্যবহৃত হতো।
ইতিহাসের শিক্ষক সাদ আল-জুদি আরব নিউজকে বলেন, ‘তায়েফের দক্ষিণের এই দুর্গগুলো শহরের বাসিন্দাদের আবাসের জন্যই শুধু নয়; বরং যেকোনো ধরনের আক্রমণ থেকে শহরবাসীকে রক্ষার জন্য নির্মিত হয়েছিল। ’
আল-জুদি বলেন, ‘তায়েফের বাসিন্দারা বিশেষ কৌশলে এই দুর্গগুলো নির্মাণ করে। চারপাশের পাহাড়ি অঞ্চল থেকে পাথর সংগ্রহ করে তারা এই দুর্গগুলো নির্মাণ করে। ’
তিনি আরো বলেন, ‘দুর্গের নিচে প্রথমে ভারী পাথর এবং তার ওপর এর তুলনায় হালকা পাথর দিয়ে দুর্গগুলো নির্মাণ করা হতো। যার ফলে শত্রুর আক্রমণ প্রতিরোধে দুর্গগুলোর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী হতো। ’
ইতিহাস বিশেষজ্ঞ মোনা উসাইরি আরব নিউজকে জানান, দুর্গের অভ্যন্তরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা ছিল। তীব্র শীত বা প্রচণ্ড গ্রীষ্মে দুর্গের ভারী পাথরের আড়ালে তাপমাত্রার তীব্রতা অনুভব করা যেত না। এ ছাড়া মরুঝড় থেকেও দুর্গগুলো তাদের বাসিন্দাদের রক্ষা করত।
উসাইরি বলেন, ‘তায়েফের এই পাথুরে স্থাপত্য ও তাদের রঙিন নকশাগুলো বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। পুরুষরা যখন নির্মাণকাজে ব্যস্ত থাকত, নারীরা দুর্গের ভেতরে ও বাইরে তখন নকশার কাজগুলো করত। দুর্গগুলোর দেয়ালে বিভিন্ন রঙিন নকশা তাদের কারুকর্মেরই প্রতিচ্ছবি। ’
আরব নিউজ ডট পিকে অবলম্বনে