IQNA

মসজিদে প্রবেশ করে চরমপন্থি বৌদ্ধরা কি করে? + ছবি

17:24 - June 27, 2016
সংবাদ: 2601071
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দীর্ঘ দিন যাবত মিয়ানমারের চরমপন্থি বৌদ্ধরা সেদেশের নিরীহ মুসলমানদের ওপর নির্যাতন করে আছে। সম্প্রতি এক সহিংসতায় চরমপন্থি বৌদ্ধরা দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় একটি মুসলিম প্রধান গ্রামের মসজিদে হামলা করেছে।

বার্তা সংস্থা ইকনা: এই মসজিদ সহ মিয়ানমারের অন্যান্য মসজিদে হামলা চালিয়ে চরমপন্থি বৌদ্ধরা সেদেশের মসজিদসমূহের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে। সম্প্রতি সোশ্যাল নেটওয়ার্ক ব্যবহারকারীরা মসজিদে হামলার বেশ কিছু ছবি প্রকাশ করেছে।
মিয়ানমারের সরকারের সমর্থনে সেদেশের চরমপন্থি বৌদ্ধরা, মুসলমানদের বাস্তুচ্যুতি করার জন্য দীর্ঘদিন যাবত রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর নির্যাতন করে আসছে।
অন্যান্য চরমপন্থি বৌদ্ধদের সাথে "৯৬৯" নামে প্রসিদ্ধ এক চরমপন্থি বৌদ্ধ দল মুসলমানদের ওপর অধিক হামলা চালাচ্ছে।
চরমপন্থি বৌদ্ধদের কর্তৃক পবিত্র কুরআনের অবমাননার ব্যাপারে সামাজিক নেটওয়ার্ক ব্যবহারকারীগণ লিখেছেন: "আপনার কি জানেন '৯৬৯' গ্রুপের পায়ের নীচে যে সকল ছেড়া পৃষ্ঠা রয়েছে, সেগুলো কোন গ্রন্থের পৃষ্ঠা? এই পৃষ্ঠা গুলো আসমানি গ্রন্থের পৃষ্ঠা অর্থাৎ পবিত্র কুরআন শরীফের পৃষ্ঠা। মসজিদে প্রবেশ করে মসজিদের অবমাননা এবং পবিত্র কুরআনের পৃষ্ঠা ছিঁড়ে মুসলমানদের অনুভূতিতে আঘাত হেনে তাদেরকে ক্ষিপ্ত করার চেষ্টা করছে এই চরমপন্থি দল।"
সামাজিক নেটওয়ার্ক ব্যবহারকারীগণ লিখেছেন: বার্মার ইতিহাসে দীর্ঘ বছর যাবত সেদেশের মসজিদ, মাদ্রাসা ও ইসলামিক প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন অজুহাতে হামলা চালিয়েছে চরমপন্থি দলসমূহ। মুসলমানদের ওপর হামলা করা সত্ত্বেও অপরদিক পশ্চিমাদের সমর্থন পেয়ে আসছে সুচি। পশ্চিমারা শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সুচিকে নোবেল পুরস্কার প্রদান করেছে! এই সুচি সরকারই মুসলমানদের বিরুদ্ধে সহিংসতা সৃষ্টি করার জন্য '৯৬৯' গ্রুপকে পূর্ণ স্বাধীনতা প্রদান করেছে।
সামাজিক নেটওয়ার্ক ব্যবহারকারীগণ আরও লিখেছেন: ৯৬৯ চরমপন্থি গ্রুপ মসজিদ, মুসলমানদের বাড়ী ও দোকান খালি করতে বাধ্য করছে এবং সেগুলোয় আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে; মানবাধিকার কোথায়? জাতিসংঘ কোথায়? উদ্যোগী মুসলমানেরা কোথায়? চরমপন্থি বৌদ্ধরা যে মসজিদ ও পবিত্র কুরআনের অবমাননা করছে, তা কীভাবে একজন মুসলমান সহ্য করছে?
Iqna


captcha